চার সরকারি কলেজ ও ২১ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

দেশের চারটি সরকারি কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি ভবন-স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, শেখ কামালসহ রাজনৈতিক ও পারিবারিক নাম মুছে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোট ৪টি সরকারি কলেজের নাম এবং ২১টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ স্থানে আগের নাম থেকে রাজনৈতিক ও পারিবারিক অভিঘাত মুছে দিয়ে নিরপেক্ষ বা ভৌগোলিক নাম যুক্ত করা হয়েছে।
যেসব কলেজের নতুন নাম
‘শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল’। ‘সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা’ হয়েছে ‘খুলনা সরকারি কলেজ, খুলনা’, ‘জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, ভৈরব’ হয়েছে ‘ভৈরব সরকারি মহিলা কলেজ’, এবং ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ, ইটনা’ হয়েছে ‘ইটনা সরকারি কলেজ’।
যেসব স্থাপনার নাম বদলাল
বিভিন্ন কলেজে স্থাপিত ছাত্রাবাস, একাডেমিক ভবন ও ছাত্রীনিবাসের নাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রাসেল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ডা. ওয়াজেদ মিয়াসহ অনেকের নাম।
এর মধ্যে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস’ এখন থেকে শুধুই ‘বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রীনিবাস’ নামে পরিচিত হবে।
ঢাকা কলেজের ‘শেখ কামাল হল’ হয়েছে ‘বিজয় ২৪’ এবং ‘শেখ জামাল একাডেমিক ভবন’ হয়েছে ‘জুলাই ৩৬ একাডেমিক ভবন’।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ বদলে হয়েছে ‘শহীদ মামুন ছাত্রাবাস’। তিতুমীর কলেজের ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ এখন ‘নতুন বিজ্ঞান ভবন’।
রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’-এর নাম হয়েছে ‘তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস’, আর দিনাজপুর সরকারি কলেজে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ নামটি সরিয়ে ‘ছাত্রীনিবাস-৩’ নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, পাবনা ও সন্দ্বীপের সরকারি কলেজগুলোর বিভিন্ন ভবনেও একই ধরনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরামর্শ অনুযায়ী।

মন্তব্য করুন