মেঘনা আলমের মোবাইলে-ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কিনা, তদন্তের নির্দেশ আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৬| আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:০১
অ- অ+

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া মামলায় জব্দ করা মডেল মেঘনা আলমের ম্যাকবুক, ল্যাপটপ মোবাইল ফোনে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কিনা, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এসব ডিভাইসের মালিকানা যাচাই করে আগামী ৩১ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে আদেশ দেন।

এদিন মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টা মিনিটে মামলার শুনানি শুরু হয়। সময় মেঘনা আলম হাতে জায়নামাজ নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন। এরপর মেঘনার আইনজীবী মহসিন রেজা মহিমা বাঁধন মেঘনার ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে শুনানি করেন।

সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ বিরোধিতা করে বলেন, এটা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর মামলা। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন। ল্যাপটপ, মোবাইল ব্যবহার করে কোন কোন ব্যবসায়ী, কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করতেন, তা জানা প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে এই আবেদন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

তখন মেঘনা আলম আদালতের উদ্দেশে বলেন, আমার সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের প্রফেশনাল সম্পর্ক রয়েছে। আমি প্রমাণ দিতে পারব আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল, নাকি আমি কাউকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিলাম।

তখন বিচারক তার উদ্দেশ্য বলেন, এখন এটা আলোচনার বিষয় নয়।

এরপর মেঘনা আলম বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আমার ওপর নির্ভর করে। আমি ছয়টি মহাদেশের ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করি। আমার ব্যবহৃত ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন পাসপোর্ট ফেরত চাই।

সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি নারীদের নিয়ে কি কাজ করেন, তা মামলার এজাহারে স্পষ্ট। তিনি মূলত নারীদের দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত - জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/প্রতিনিধি দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এরপর অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছেন। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপের নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এলএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও ব্লক রেইডের পরিকল্পনা হতো তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায়: সাবেক আইজিপি
পলাতক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয়কে বরখাস্ত করল সরকার, আছে দুর্নীতির মামলা
রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে আহত ২০
এশিয়াটিকের দুর্নীতির তদন্তে দুদককে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা