রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে আহত ২০

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাউজান পৌরসভার সত্তারঘাট এলাকায় দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন গোলাম আকবর খোন্দকার উপজেলা বিএনপির প্রয়াত নেতা মহিউদ্দীন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন এবং একই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে একই এলাকায় অবস্থান নেয়। হঠাৎ মুখোমুখি অবস্থান থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহরের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা চালানো হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সম্পাদক নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, খোন্দকারের এপিএস ও পিএ, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারাও।
গোলাম আকবর খোন্দকারের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, খোন্দকারকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয় এবং গলা ঘেঁষে গুলি চলে যায়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তিনি অসুস্থ অবস্থায় বিশ্রামে ছিলেন এবং এ ঘটনার কিছুই জানেন না। তবে তার অনুসারীরা পাল্টা অভিযোগ এনে বলেন, খোন্দকারের লোকজনই গণঅভ্যুত্থানের কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী এনেছে।
ঘটনার পর রাউজানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, তবে পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন