মুজিববর্ষে অর্থ লুটপাট ও টাকা পাচারের অভিযোগ

এশিয়াটিকের দুর্নীতির তদন্তে দুদককে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২৫, ২৩:৫৫| আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ০০:০২
অ- অ+

মুজিববর্ষ উদযাপনে সরকারি অর্থ লোপাটে এশিয়াটিক গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগসহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয় তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাব্বির ইবনে আজম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইসা ও ইকরামুল কবির।

রিট আবেদনে দাবি করা হয়, গত ১৬ বছরে স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থ, আইসিটি, বিদ্যুৎ, তথ্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন টেন্ডার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে এশিয়াটিক গ্রুপ। সরকারের মদদে ‘উন্নয়ন প্রচার’ শিরোনামে রাষ্ট্রীয় অর্থে নির্মিত ক্যাম্পেইন, বিজ্ঞাপন ও প্রামাণ্যচিত্র স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্প্রচার করে তারা।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে মুজিব সিনেমার প্রচারণার নামে বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। এই প্রচারণার কাজ বাস্তবায়নে ‘এশিয়াটিক এফজেডই’ নামে একটি বিদেশি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি অর্থে তৈরি এসব বিজ্ঞাপন এশিয়াটিকের ‘এমবিএ’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সময় টিভি, একাত্তর টিভি, যমুনা টিভি ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়।

‘আমার দেশ’-এ প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে রিটে রেফারেন্স হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে বলা হয়— বিজ্ঞাপন বাজারে দখল কায়েম করতে নুরুল আলম যাকেরের পরিবারের নেতৃত্বাধীন এশিয়াটিক গ্রুপ রাজনৈতিক প্রভাব ও ঘনিষ্ঠতা ব্যবহার করেছে। সাবেক তথ্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সম্পৃক্ততার কথাও সেখানে উঠে আসে।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, এশিয়াটিকের কর্মকাণ্ডে যদি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, আত্মসাৎ বা মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তা কঠোরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি রিটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
এখনো বিয়ে করার মতো কাউকে খুঁজে পাননি তমা মির্জা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাইকারীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক উদ্ধার, হচ্ছে নতুন মামলা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা