আবু সঈদ হত্যা: অভিযোগ গঠন বিষয়ে আসামিপক্ষের পরবর্তী শুনানি কাল বুধবার

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৭:০৫
অ- অ+

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আসামিপক্ষের পরবর্তী শুনানি আগামীকাল বুধবার।

এই মামলায় গ্রেফতারকৃত ছয় আসামির মধ্যে তিনজনের পক্ষে আজ শুনানি করেন তাদের আইনজীবীরা। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামি সুজন চন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল গনী টিটো এবং ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান শুনানি করেন।

এই মামলায় পলাতক ২৪ আসামির জন্য রাষ্ট্র নিযুক্ত চারজন আইনজীবীকে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। সেই সঙ্গে এই আসামিদের পক্ষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আজ প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলামসহ অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগে থাকা ৩০ জন আসামির মধ্যে গ্রেফতার ছয়জন আজ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

গতকাল প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৩০শে জুন ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। জাজ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
আমীরে জামায়াতের সুস্থতা কামনায় কেন্দ্রীয় অফিস মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত 
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
পঞ্চগড়ে রাস্তার কাজে অনিয়ম, অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে গণপিটুনি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা