দিল্লিতে বসে সরকার পতনের নীলনকশা

আ.লীগ কর্মীদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, ‘এএসপি সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো কর্মকর্তা নেই— পুলিশ সদরদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৫:০৭| আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৯
অ- অ+

আওয়ামী লীগ কর্মীদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণে জড়িত অভিযোগে মেজর সাদিক নামে একজন সেনা কর্মকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। এই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিনও একই প্রশিক্ষণে জড়িত বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, যা দৃষ্টিগোচর হয় পুলিশ সদরদপ্তরের।

শনিবার দুপুরে সদরদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়— ‘‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে এক নারীকে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সকলের বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পুলিশে ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো নারী কর্মকর্তা নেই।’

এদিকে গোয়েন্দা তথ্য বলছে, সাদেক ও তার স্ত্রী সুমাইয়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। আর সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনার বিষয়টি কলকাতায় বসে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাকে সহযোগিতায় সেখানে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনায় কৌশলগত সহযোগিতা করছেন দিল্লিতে অবস্থান করা পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান। তবে সুমাইয়া নামে কোনো নারী কর্মকর্তা পুলিশে নেই বলে জানিয়েছে সদরদপ্তর।

শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ওই কর্মকর্তাকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এবং ঘটনার তদন্তে একটি তদন্ত আদালত গঠন করেছে।

সূত্র বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ‘গোপন বৈঠক’ করে। এই অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যার মধ্যে মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

গোপন বৈঠকের ঘটনায় ভাটারা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এজাহারে বলা হয়, ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। তারা সেখানে এসব ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/এসএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হোটেল থেকে জনপ্রিয় অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হলেন কামরুল ইসলাম 
গণসার্বভৌমত্ব কায়েম না হলে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে: ফরহাদ মজহার
পিআর পদ্ধতিতে ভোটের জন্য কেউ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি: মেজর হাফিজ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা