বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার লাশের ছবি মিডিয়াতে এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে: ডা. রফিক

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা রফিকুল ইসলাম বিগত জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৬ বছরে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের অংশগ্রহণ নিয়ে বলেছেন, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার জনিসহ অনেক বিএনপির নেতাকর্মীদের লাশের ছবি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখযোগ্য। বিগত ১৬ বছরে নির্যাতিত প্রতিটি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিলো জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশ মেডিকেল হল (পিজি হাসপাতাল) মিল্টন হলে আমাদের জুলাই কর্তৃক আয়োজিত ‘ডক্টর'স রেজিস্টেন্স ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘জুলাই চিকিৎসকদের গল্প’ শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই গনঅভ্যুত্থানে কারা নির্যাতিত ডা. রফিক বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে বলেন, হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে এক ভয়ংকর খুনি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর নতুন এক বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনচেতা প্রতিটা মানুষের ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে খুনি হাসিনার পতনের পর।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এই সরকারের দমন-নির্যাতনে খুন হয়েছে হাজারো কর্মী, গুম হয়েছেন ৬০০-র বেশি নেতা-কর্মী। লক্ষাধিক মামলা নিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে ফেরারি জীবন বেছে নিয়েছেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। তাদের আত্মত্যাগই প্রস্তুত করেছে এই জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সেই ধারাবাহিকতায় আবু সাইদ-ওয়াসিম-মুগ্ধদের আত্মত্যাগে নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা।
বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক বলেন, ফ্যাসিবাদী পুলিশ ও ডিবির হাতে আটক হওয়ার পূর্বে যখন আমরা শুনতে পাই স্বাচিপের চিকিৎসকরা আহতদের চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করছে তখন এইখবর ও পাই স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিজেদের জীবন বাজি রেখে আহতদের সেবা দিয়েছেন দেশপ্রেমিক চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। চিকিৎসকরা একইসাথে রাজপথ ও হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে ইতিহাসে।
এসময় তিনি জুলাই আন্দোলনে শহীদ দুই চিকিৎসক ডা. সজীব সরকার ও ডা. কবিরুল ইসলাম আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং জুলাই আন্দোলনে জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মো. কবিরুল ইসলামের সহধর্মিণী শামসুন নাহার শেলী ও শহীদ ডা. সজীব সরকারের পিতা হালিম সরকার বকুল।
জুলাই চিকিৎসক সমাবেশের সংগঠক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএমইউর ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ অতিথি আলোচক ছিলেন জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম। এসময় জুলাই যোদ্ধা ডা. জাহিদুল কবির, ডা সাকলায়েন, ডা. সায়েম মনসুর আল ফায়েজি, ডা. মাহমুদুর রহমান নোমান, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. সমী আল হাসান ইমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ চিকিৎসক পরিবারের দুই সদস্য ও জুলাই আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
(ঢাকা টাইমস/০২আগস্ট/জেবি/এসএ)

মন্তব্য করুন