আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করলে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন হতো না: জাগপা

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপা সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী বলেছেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গোপনে একত্র হয়ে সহিংসতা বা হামলার পরিকল্পনা করতে পারে এই আশঙ্কায় ১১ দিন বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি। খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর আজকের এই সতর্কতা জারি আমাদের জন্য ব্যর্থতার ইতিহাস হিসেবে গণ্য হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করলে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন হতো না।
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী গণসংযোগ এবং আগস্ট মাসের ৬ তারিখ খুনি হাসিনাকে ফেরতের দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। তার অংশহিসেবে মাসব্যাপী কর্মসূচির ২৯তম দিন মঙ্গলবার পঞ্চগড় সিনেমা হল রোড, চৌরঙ্গী মোড়, আদালত চত্বর, তেঁতুলিয়া রোড এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেছে দলটি।
জাগপা নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ১ বছর সময় পার করে দিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারে নাই, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার দৃশ্যমান হয় নাই। ভারতের নীলনকশায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হচ্ছে অথচ অন্তর্বর্তী সরকার তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। বিরোধী দল ও মত দমনে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি, জামায়াত, জাগপাসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতো। অথচ নতুন বাংলাদেশে সুশীলতার প্রভাবে এই সরকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগারদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না।
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড় জেলা জাগপা সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান নয়ন মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় জেলা নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, নাজমুল হক, জেলা যুব নেতা কামরুজ্জামান কুয়েত, মোকছেদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক নেতা মানিক হোসেন, মো. তসলিম, জেলা জাগপা ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/ জেবি)

মন্তব্য করুন