ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা কানাডার

ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে কারনি বলেন, “কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে। আমরা এমন একটি স্বাধীন, কার্যকর এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে চাই, যা ইসরায়েলের পাশে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে সহাবস্থান করবে।” এসময় তার সঙ্গে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী কারনি জানান, জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি কারণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
কারনি জানান, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ২০২৬ সালে ফিলিস্তিনে নির্বাচন আয়োজন করা হবে এবং সেখানে হামাসের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে পুরোপুরি অসামরিক, এমন প্রতিশ্রুতিও পেয়েছেন তিনি।
এই ঘোষণাটি এসেছে এমন সময়, যখন ফ্রান্সও সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তারাও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ভয়াবহ মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারনি বলেন, “কানাডা সবসময়ই ইসরায়েলের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্বকে সমর্থন করে এসেছে। কিন্তু টেকসই শান্তির পথে অগ্রসর হতে হলে, একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র অপরিহার্য।”
জানা গেছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে ফোনালাপে গাজার মানবিক বিপর্যয় এবং যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি ইস্যু নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে কারনির।
এই সিদ্ধান্তকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক বড় কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
(ঢাকাটাইমস/৩১ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন