গেন্ডারিয়ায় নৃশংসভাবে রিকশাচালক হত্যা: র্যাবের অভিযানে পাঁচ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার দয়াগঞ্জ এলাকায় রিকশাচালক আরিফ হোসেন বাবু (৩৫) হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে র্যাব-১০, সিপিস-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন–মো. মাসুম ওরফে কালী মাসুম (৩০), মো. আজিম (৩৫), মো. শাহিন ওরফে চাচা শাহিন (৩০), মো. হৃদয় (২৫) এবং মো. ফিরোজ কালু (৪১)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এস এম হাসান সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অপস্ অফিসার তাপস কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে গত ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গেন্ডারিয়া থানা এলাকার ঘুন্টিঘর নামাপাড়ার রেললাইনের পাশে আরিফ হোসেন বাবুকে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে একটি সংঘবদ্ধ দল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে র্যাব জানায়, ঘটনার সময় আসামি কালী মাসুম চাপাতি দিয়ে আরিফের পায়ের রগ কেটে দেয় এবং মাথায় আঘাত করে। শাহিন নামে একজন রামদা দিয়ে তার হাতের কব্জিতে কোপ মারে। ফিরোজ কালু সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আজিম বড় পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং হৃদয় তার বুকের ওপর বসে মারধর চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১০ এর সহযোগিতা চাইলে র্যাব সদস্যরা অভিযানে নামে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া ও শ্যামপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন: মো. মাসুম ওরফে কালী মাসুম (৩০), মো. আজিম (৩৫), মো. শাহিন ওরফে চাচা শাহিন (৩০), মো. হৃদয় (২৫) এবং মো. ফিরোজ কালু (৪১)।
র্যাব কর্মকর্তা এস এম হাসান সিদ্দিকী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কালী মাসুমের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা, শাহিনের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা এবং হৃদয়ের বিরুদ্ধে দস্যুতা ও মাদকের তিনটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন