গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক অপু গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৫| আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১২:২২
অ- অ+

গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারনামীয় আসামি জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপু জাতীয় নাগরিক পার্টির ছাত্র সংগঠন গনতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গনতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাতক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

তাদের নেতৃত্বে ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক (সদ্য বহিষ্কৃত) জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় হুমকি-ধামকি ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু, আর বাকি ৫ লাখ রিয়াদ।

পরবর্তীতে চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে পুলিশের ফাঁদে পড়ে চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার হন। এরা হলেন_আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়া, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, আমিনুল ইসলাম।

তাদের সবাই 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ও 'গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ'-এর বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় তাদের।

এদিকে চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন সমন্বয় পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে পঞ্চাশ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়।

একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই; এসময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকালে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এসময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরও ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/এলএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ তলায় আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে
লন্ডনের লোকাল বাসে সাধারণ যাত্রীর মতো তারেক রহমান, নেটদুনিয়ায় প্রশংসিত
মার্কিন সামরিক বিমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলেন ৩৯ বাংলাদেশি
তিন বিভাগে অতিভারি বর্ষণের পূর্বাভাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা