রাউজানের ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই: গিয়াস কাদের

চট্টগ্রামের রাউজানে সংঘটিত বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন দলীয় ভাইস চেয়ারম্যানের পদ স্থগিত হওয়া সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
বুধবার বিকালে রাজধানীর বারিধারায় নিজের বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এনে পদ সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রেরিত এক চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, দলের অভ্যন্তরে হানাহানি ও সংঘাতে মদদ দিয়েছেন এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন, যা আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমি এহেন কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’
তিনি বলেন, ‘যে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটি পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্যনিষ্ঠ নয়। আমি দাবি জানাই এই বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক। আমি নিজেও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। দলের অভ্যন্তরে একটি ষড়যন্ত্রমূলক গোষ্ঠী বিএনপির আদর্শ ও নেতৃত্বকে বিতর্কিত করতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, চেয়ারপারসনের ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিচক্ষণ নেতৃত্বে একটি ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত হবে এবং আমার রাজনৈতিক সম্মান পুনঃস্থাপন করা হবে।’
১৯৮৬ এবং ১৯৯৬ সালে দুই দফায় এমপি গিয়াস কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিএনপির একজন আদর্শিক রাজনীতিক। শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি সর্বদা দলের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং জনগণের পাশে থেকেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও একটি বিশেষ মহলের চক্রান্তমূলক প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। আমি শুধু নিজে সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে ছিলাম না বরং দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় আওয়ামী প্রভাবিত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছি। বরং আমি একাধিকবার দলের কেন্দ্রীয় ফোরামে লিখিতভাবে এবং সরাসরি কিছু নেতাকর্মীর অপতৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করেছি। তাসত্ত্বেও উল্টো আমাকে অপরাধী বানিয়ে পদ স্থগিত করা দলের শৃঙ্খলার পরিপন্থি ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
গিয়াস কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমার এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে গত ২২ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি প্রদান করেছি যাতে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। অথচ সে উদ্যোগকেই ভুল ব্যাখ্যা করে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে রাউজানের ঘটনায় স্থানীয় ৫ নেতাকে বহিষ্কার, উত্তর জেলা কমিটি বিলুপ্তসহ গিয়াস কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিত করে বিএনপি।
(ঢাকা টাইমস/৩০জুলাই/জেবি/এসএ)

মন্তব্য করুন