খানসামায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মারামারি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার পাকেরহাটের বাইপাসে চৌধুরী রাইস মিল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। কিন্তু বিএনপির অপর একটি পক্ষ সভাস্থলে এসে তাদের সভা পণ্ড করার চেষ্টা চালায়। এ পক্ষটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার সরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। এতে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, আগে থেকেই একটি পক্ষ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে আসছিল।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আলম তুহিন বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীকে আমরা কোনোভাবেই মানি না। তিনি দলের নতুন সদস্য হয়েও টাকার বিনিময়ে দলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। এতে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য নির্যাতিত নেতাকর্মীরা আহ্বায়ক কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে আসছে।’

এদিকে আহবায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘টাকা দিয়ে কখনোই রাজনীতি হয় না। মানুষের ভালোবাসা এবং দল আমাকে আহ্বায়ক কমিটিতে পদ দিয়েছে বলেই আমি ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পেয়েছি।’

ঘটনা কিছুটা স্বাভাবিক হলে দু-পক্ষের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে স্বল্প পরিসরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন।

কমিটির আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য নেতাকর্মীদের আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে একটি পক্ষ এসে অতর্কিতে হামলা চালায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমরা আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা ও কেন্দ্রে বিষয়টি লিখিত আকারে জানাব। দলীয়ভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে যদি কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ বা মামলা করতে আসে- তাহলে আমরা অবশ্যই মামলা গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। খানসামা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হলে আমরা কোনোভাবেই ছাড় দেব না।’

(ঢাকা টাইমস/১ সেপ্টেম্ব/এএস/এলএ)