তিন যুগ আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ৩৫ বছর আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আনাস মাহমুদ নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন ও মন্টু মন্ডলকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় সগিরা মোর্শেদ সালামকে (৩৪)। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে সগিরা মোর্শেদ সালাম বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে বাসায় আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে চার্জশিট দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। চুক্তির ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন হাসান আলী। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও আর দেননি।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এফএ)