স্টারলিংকের সংযোগ যেভাবে পাওয়া যাবে

তথ্যপ্রযু‌ক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ মে ২০২৫, ১১:৩১
অ- অ+

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই ইতোমধ্যে চালু হওয়া এই পরিষেবা বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন এই প্রযুক্তি ঘিরে দেশের ইন্টারনেট সেবার মান এবং গ্রাহকসেবায়ও বড় ধরনের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে।

স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে যাত্রা শুরু করছে। প্যাকেজ দুটি হলো ‘স্টারলিংক রেসিডেন্স’ ও ‘রেসিডেন্স লাইট’। মাসিক খরচ একটিতে ৬,০০০ হাজার টাকা, অপরটিতে ৪,২০০ টাকা। তবে এই খরচের বাইরে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে একজন গ্রাহকের।

স্টারলিংক সংযোগ পেতে হলে, গ্রাহকদের প্রথমে স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (starlink.com) গিয়ে আগ্রহী গ্রাহক হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সংযোগ পাওয়া যায় কি-না, তা পরীক্ষা করতে ঠিকানা দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। এরপর একটি প্যাকেজ বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

স্ট্যান্ডার্ড কিটে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল। কিট হাতে পাওয়ার পর স্টারলিংক অ্যাপের মাধ্যমে সংযোগ সক্রিয় করতে হবে। স্টারলিংক সংযোগ নিয়ে ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা সন্তোষজনক মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহককে টেলিভিশনের ডিশ অ্যান্টেনার মতো একটি যন্ত্র বসাতে হবে। এটি সেই স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। যন্ত্রটি ক্রয়ের সময় এর সঙ্গে পুরো একটি টুলকিট দেয়া হয়।

এতে স্টারলিংক অ্যান্টেনা ছাড়াও থাকে স্ট্যান্ড, স্টারলিংক কেবল, জেন থ্রি রাউটার, এসি কেবল এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টার। অ্যান্টেনা যে কোনো জায়গায় মাউন্টের জন্য উপযোগী। এমনকি ট্রেনের মতো দ্রুতগামী কোনো বস্তুর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। তবে শর্ত হচ্ছে- আকাশ ও অ্যান্টেনার মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকা যাবে না।

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের যাত্রা শুরুদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু

স্টারলিংকের যাত্রা শুরু, সর্বনিম্ন খরচ ৪২০০ টাকাস্টারলিংকের যাত্রা শুরু, সর্বনিম্ন খরচ ৪২০০ টাকা

এই অ্যান্টেনার সঙ্গে স্টারলিংকের রাউটারটি যুক্ত করে গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে দুর্গম পাহাড় বা জঙ্গলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্ভব হবে। এই রাউটারে একসঙ্গে ২৫৪টি ডিভাইস যুক্ত হতে পারে। অবশ্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫০টির কম ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে।

পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ চালু করা প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস, এলএলসি। পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের নামানুসারেই উপগ্রহ ক্লাস্টারের নাম হয়েছে স্টারলিংক। গোটা বিশ্ব জুড়ে ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক রয়েছে ১০০টিরও বেশি দেশে।

স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে ৬০টি স্যাটেলাইটের চালুর মাধ্যমে। বর্তমানে এই সংখ্যা দাড়িয়েছে সাত হাজারেরও বেশি এবং এগুলো খুব কাছাকাছি কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এই অবস্থানটি প্রায় ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার উপরে।

(ঢাকাটাইমস/২২ মে/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
অভিযোগ ভিত্তিহীন, বিসিএস ভাইভার প্রস্তুতি নিতে পদত্যাগ করেছিলাম: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোয়াজ্জেম
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মামুন খালেদ ও স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
নুসরাতের সঙ্গে বিচ্ছেদ গুঞ্জন, যা বললেন যশ
হারানো বিড়াল সিম্বার খোঁজে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, পুরস্কার ঘোষণা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা