হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ইশরাক, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত থাকবেন রাজপথে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে কাকরাইল মসজিদের মোড় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে হেয়ার রোডে তার সমর্থকদের অবস্থান চলছেই। গত সারা রাত সেখানে অবস্থান করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। রাতের ক্লান্তিতে জড়ানো অনুসারীরা এখনো সেখানে অবস্থান করছেন। সকাল হওয়ার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে নতুন কর্মীরা। ইশরাক ও তার অনুসারীদের দৃষ্টি হাইকোর্টের রায়ের দিকে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) ইশরাকের মেয়র পদে শপথ নেওয়া-না নেওয়ার এক রিটের ওপর রায় দেওয়ার কথা রয়েছে উচ্চ আদালতে।
গতকাল বুধবারই রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুনরায় শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
গতকাল ওই রিটের শুনানি শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর ইশরাক ফেসবুক পোস্টে তার অনুসারীদের নির্দেশ দেন, ‘নির্দেশ একটাই রাজপথ ছাড়া যাবে না।’
রাজপথে অবস্থান করা ইশরাক ও তার অনুসারীরা তাকিয়ে আছেন হাইকোর্টের দিকে। নেতাকর্মীদের নিয়ে যমুনার কাছে অবস্থান নিয়ে ইশরাক ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যমুনা ছাড়বেন না তিনি।
টানা সাত দিন নগর ভবনের সামনে অবস্থান ও ব্লকেড কর্মসূচি শেষে গতকাল নগর ভবনের পাশাপাশি রাজধানীর আরও তিনটি পয়েন্টে অবস্থান নেন ইশরাকের সমর্থকরা। তারা জানান, উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা যমুনার সামনে অবস্থান চালিয়ে যাবেন। যদি রায় তাদের বিপক্ষে যায়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (২১ মে) সারা দিন কাকরাইল, মৎস্য ভবন, সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান করেন ইশরাকের সমর্থকরা। সন্ধ্যার পর হাজারো নেতাকর্মী ইশরাকের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র কাছে অবস্থান নেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যমুনার চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে এই ফল বাতিলের জন্য নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন বিএনপির ইশরাক হোসেন। গত ২৭ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন।
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মেয়রের দায়িত্ব দেয়ার জন্য এখনো শপথ পড়ানো হয়নি ইশরাককে। সেটি নিশ্চিত করতেই বিএনপি নেতাকর্মীরা গত আট দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
(ঢাকাটাইমস/২২মে/মোআ)

মন্তব্য করুন