হাসান-শরিফুলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ

পূর্ব নির্ধারিত সূচিতে ছিল না বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের তৃতীয় ম্যাচটি। আর সেই বাড়তি ম্যাচই এখন রূপ নিয়েছে ‘অঘোষিত ফাইনালে। দুই দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে নেমে ব্যাটিংয়ে আরও বিপর্যস্ত টাইগাররা। ৭১ রানেই ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ অবশ্য শেষদিকের নাটকীয়তায় স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান তুলেছে।
বুধবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আমিরাত। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটাররা খেই হারিয়ে ফেলেন। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারের মধ্যেই ৪৯ রানে ফিরে যান টপ অর্ডারের চার ব্যাটার।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানো তানজিদ এ দিনও খেলছিলেন স্বচ্ছন্দে। বাঁহাতি এই ওপেনার শুরু থেকেই খেলেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, মাত্র ১৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৪০ রান। তবে ইনিংস বড় করতে না পারায় আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমন আজ গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক লিটন দাসও ইনিংস বড় করতে পারেননি, করেন ১০ বলে ১৪ রান। আগের ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করা তাওহীদ হৃদয় ফিরেছেন শূন্য রানে। মিডল অর্ডারের আরেক ব্যাটার মাহেদী হাসানও হতাশ করেছেন, ৯ বলে করেন মাত্র ২ রান।
অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম, শামীম পাটোয়ারী (৯) ও রিশাদ হোসেন (০)। তামিম ১৮ বলে ৪০ করেছেন ৪টি করে চার-ছক্কায়। ৮১ রানে ৮ উইকেট হারালে বাংলাদেশ ২০ ওভার খেলতে পারবে কি না সেই সংশয় জাগে। তবে জাকের আলি ও টেলএন্ডারে শরিফুল-হাসানরা সেই শঙ্কা কাটিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
জাকের আলি অনিক ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৪ বলে ৪১ রান করেছেন। ক্র্যাম্প ও ঘাড়ে ব্যথা নিয়েও তিনি ব্যাট করেছেন অনেকটা সময়। ওয়াসিমের ওভারটিতে ২টি ছয় ও একটি চার হাঁকানো শরিফুল-হাসানরা দুটি নো বল উপহার পেয়েছেন। ফলে ওভারটিতে বাংলাদেশ পায় ২৬ রান। আর শেষদিকে হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং শরিফুল ইসলাম ৭ বলে ১৬ রান করে দেড়শ পেরোতে বড় অবদান রেখেছেন। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৬২ রান।
আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হায়দার আলী।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এলকে)

মন্তব্য করুন