শুল্কহার নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সময় চেয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে দেশটির সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
উপদেষ্টা বলেছেন, তৃতীয় পর্যায়ের দরকষাকষির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই আবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।
বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষে দেশে ফিরে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ করবে এবং বাংলাদেশ তার সক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে।’
এর আগে গত ৯ জুলাই থেকে টানা তিন দিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়। ১১ জুলাই শেষ হয় আলোচনা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের কারণে বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয় বলে জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি সংস্থা ইউএসটিআইয়েরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে। ওই সব বৈঠকে কিছু বিষয়ে একমত হলেও সব বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হতে পারেনি।
শুল্ক আরোপ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অভিঘাত বলে বর্ণনা করে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, সেজন্য সরকার সর্বাত্মক পর্যায়ে জড়িত থেকে কাজ করছে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ করা হয়েছে, আরো কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে।’ সামনে যেকোনও বিষয়ে এলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বিকেএমইএর সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতোমধ্যে সরকারের যে আলোচনা হয়েছে, তা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের অবহিত করা হয়েছে। তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’
গত ৮ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানান। নতুন এ শুল্কহার আগামী ১ আগস্ট কার্যকর হওয়ার কথা।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/জেবি/মোআ)

মন্তব্য করুন