মিটফোর্ড হত্যা: আসামিপক্ষে দাঁড়াবে না জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলা নেবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিট। পাশাপাশি অন্য আইনজীবীদেরও এ মামলায় আসামিদের পক্ষে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম এ আহ্বান জানান।
সোহাগ হত্যার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে খোরশেদ আলম বলেন, ‘অনতিবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের কোনো সদস্য সোহাগ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করবে না সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি কোনো আইনজীবী যেন আসামিপক্ষে না দাঁড়ায় সেই আহ্বানও জানাচ্ছি।’
খোরশেদ আলম বলেন, ‘সোহাগ হত্যার সিসি ফুটেজে স্পষ্টভাবে সবকিছু দেখার পরও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সমস্ত দায়ভার বাংলাদেশের সবচেয়ে নিপীড়িত দল বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে অশ্লীল স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসর এবং অদৃশ্য শক্তি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে কোনোরকম তদন্ত, অনুসন্ধান ছাড়াই চাঁদাবাজির মতো এক ঘৃণ্য অপবাদ আরোপ করে বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে।’
এই আইনজীবী নেতা বলেন, ‘২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এই দেশের সবচেয়ে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত ও মজলুম দলটির নাম বিএনপি। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি এই দলকে নিশ্চিহ্ন করতে এমন কোনো অত্যাচার ও নিপীড়ন নেই যা করেনি। এর পরেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম সততা, আদর্শে অনুপ্রাণিত লক্ষকোটি নেতাকর্মী শত অত্যাচারের স্টিম রোলার সহ্য করে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে।’
ফোরামের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক মিলন প্রমুখ।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/জেবি/মোআ)

মন্তব্য করুন