বগুড়ায় দাদি ও নাতি বউকে গলা কেটে হত্যা

বগুড়ায় দাদি ও নাতি বউকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন বন্যা আক্তার নামের এক কিশোরী। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার পর সদরের ইসলামপুর হরিগাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮০) এবং তার নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। আহত বন্যা পারভেজের ছোট বোন বন্যা (১৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত লাইলী বেওয়ার ছেলে বুলবুল ওই পাড়াতেই মুদী দোকান করেন। ঘটনার সময় বুলবুল তার স্ত্রী পারভীনসহ দোকানে অবস্থান করছিলেন। তার দুই ছেলে পারভেজ বাড়ির বাহিরে এবং ছোট ছেলে কৌশিক প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলেন। বাড়িতে বুলবুলের মা, ছেলের বউ, মেয়ে এবং সাত মাস বয়সী নাতি ছিলেন। এশার নামাজের পর বন্যা পেটে ছুরিকাহত অবস্থায় বাড়ি থেকে চিৎকার দিয়ে বের হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখে বারান্দায় বেসিনের কাছে হাবিবার গলাকাটা লাশ এবং ঘরে লাইলী বেওয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। আর হাবিবার সাত মাস বয়সী শিশু রক্তের মধ্যে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এরপর তারা দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় বন্যাকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে। তিনি এখনো সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
বন্যার ফুপাতো ভাই খোকন মিয়া জানান, বন্যা এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। একই এলাকার সোহেলের ছেলে সৈকত নামের এক বন্যাকে পছন্দ করতো এবং প্রায়ই বিরক্ত করতো। বুধবার বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় সৈকতসহ আরও ৭/৮ জন বাড়িতে প্রবেশ করে। তখন বন্যার ভাবী হাবিবা তাদের দেখে গালিগালাজ করে৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে হাবিবাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে। এরপর লাইলী বেওয়াকেও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন বন্যা ছুটে আসলে বন্যার পেটে ছুরিকাঘাত করলে তারা পালিয়ে যায়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ছুরিকাঘাত বন্যা পুলিশকে সৈকতের নাম বলেছে। এরপর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে। সৈকত গ্রেপ্তার হলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
(ঢাকা টাইমস/১৭জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন