টাইগারদের বোলিংয়ে ১১০ রানে অলআউট পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তান দল ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ করেছে। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১১১ রান।
টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না পাকিস্তানি ব্যাটাররা। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে খানিকটা স্বস্তি নিয়ে ম্যাচ শুরু করে টাইগাররা। শুরু থেকেই দারুণ বোলিংয়ে চাপে রাখতে পেরেছেন পাকিস্তানিদের। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় পঞ্চাশ রানের আগেই পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
প্রথম ওভারেই শেখ মেহেদী সুযোগ তৈরি করেছিলেন। চতুর্থ বলে স্লগ সুইপ খেলতে গেলে বল উঠে গিয়েছিল আকাশে। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। ৪ রানে জীবন পান ফখর।
এরপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করেন তাসকিনই। বল হাতে নিয়ে প্রথম ৪ বলেই দেন ৯ রান। তবে পঞ্চম বলেই উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ফ্লিক খেলে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ হন চার বল খেলে ছয় রান করা সাইম আইয়ুব।
তৃতীয় ওভারে বল করতে আসা শেখ মেহেদীকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে কাউ কর্নারে শামীম পাটোয়ারীর হাতে ক্যাচ হন মোহাম্মদ হারিস (৩ বলে ৪)। এতেই ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পঞ্চম ওভারে সালমান আগা খেলতেই পারছিলেন না তানজিম হাসান সাকিবকে। টানা চার বল মিস করার পর চিকি শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক। তিনি ৯ বলে করেন ৩ রান।
পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট উপহার দেন মোস্তাফিজুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই হাসান নওয়াজ ফেরেন সাজঘরে।
এরপর দলীয় ৪৬ রানে মোহাম্মদ নেওয়াজকে রান অউট করেন লিটন দাস। ফলে পঞ্চম উইকেটের পতন হয়।
এরপর একটা প্রান্ত ধরে ফখর জামান দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও থামতে হয় রানআউটে। মোস্তাফিজের ওভারে খুশদিল দুই নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ফখরের সঙ্গে, তাসকিনের থ্রোতে স্ট্রাইকিং এন্ডের স্টাম্প ভাঙেন লিটন। ৩৪ বলে ৪ চার আর ১ ছক্কায় ফখরের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
পরিস্থিতি বুঝে খুশদিল শাহ মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। ২৩ বলে ১৮ করে তিনি হন মোস্তাফিজের শিকার। স্লোয়ারে মিসটাইমিং করে মিডঅফে রিশাদের ক্যাচ হন খুশদিল। ৯ বলে ৫ করে তাসকিনকে উইকেট দেন ফাহিম আশরাফ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ফখর জামান। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/আরকে)

মন্তব্য করুন