আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা!

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মোস্তফা জামাল।
বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। এর চেয়ে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, নৈরাজ্যের সমাধান করবে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে আশা করি।’
জাতীয় সংলাপ ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ জাতীয় পার্টিসহ (কাজী জাফর) ১৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানানোর দাবি করে আসছে।
এই আবহে আজ ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আগামী টার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানাবেন বলে জানা গেল।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে রমজান শুরু হবে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, সংস্কার কাজের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে রোজার আগেই নির্বাচন করা সম্ভব।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হওয়ার পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের তিনটি প্রধান এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে- জুলাই গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন।
ইতিমধ্যে গণহত্যার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছুটা এগিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এখন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা রাজনৈতিক দল ও দেশের সব শ্রেণির মানুষের।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/জেবি/মোআ)

মন্তব্য করুন