গুলশানে চাঁদাবাজি: আটক চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন

সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান এই আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন: সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
রোববার সিদ্দিক আবু জাফর নামের একজন বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন: আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে অবস্থিত সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় যান। সেখানে তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে 'আওয়ামী লীগের দোসর' আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন। একপর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন।
এই ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্ত রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানালে অভিযুক্তরা চলে যায়।
পরে গতকাল ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় অভিযুক্ত রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য অভিযুক্তরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদীকে বিষয়টি জানান। এ সময় অভিযুক্তরা দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন।
এ ঘটনা পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ অভিযুক্তকে হাতেনাতে আটক করে। তবে, এজাহারনামীয় অভিযুক্ত কাজী গৌরব অপু এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যান।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন