'সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করলে সোজা পুলিশে দিন— এনসিপি নেতা সারজিস আলম

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি বা মামলা বাণিজ্যে জড়ালে সরাসরি পুলিশে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
রবিবার (২৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, 'কোনো অফিসে, কোনো বাসায় কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে কেউ যদি তদবির বা চাঁদাবাজির চেষ্টা করে, তাহলে ধরে সোজা পুলিশে দিন।'
তিনি আরও লেখেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।'
এদিকে সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ জানান, সারাদেশে সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে নামে-বেনামে অপকর্মের অভিযোগ আসছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয়ে বা ব্যক্তি উদ্যোগে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সংগঠনটি কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সকল স্তরের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে বলেও জানান রিফাত রশিদ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে পাঁচ যুবক। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা। এদের মধ্যে রয়েছেন— আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না ও আমিনুল ইসলাম।
এদিকে চাঁদাবাজিতে সরাসরি জড়িত অভিযোগে শনিবার রাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন— ঢাকা মহানগর শাখার আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
বহিষ্কার আদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের (বহিষ্কার নেতাদের) সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদাবাজির ঘটনায় রবিবার একটি মামলা হয়। যেখানে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

মন্তব্য করুন