ঢাকা মহানগরের আহ্বায়কসহ তিন নেতাকে বহিষ্কার করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদা আনতে গিয়ে গ্রেপ্তার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
তাতে বলা হয়েছে, 'সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা মহানগর শাখার আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।'
এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় পাঁচজনকে আটক করে গুলশান থানা পুলিশ। তারা হলো— আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মান রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা সাদমান সাদার, আমিনুল ইসলাম ও ইব্রাহীম হোসেন।
থানা পুলিশ জানায়, গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা গ্রেপ্তার হন। বাসাটি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের। গত ১৭ জুলাই আটক ব্যক্তিরা শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে তার স্বামীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে তার স্বামী ১০ লাখ টাকা প্রদান করলেও বাকি অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে পুনরায় তারা শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে।
তখনই ভুক্তভোগী দম্পতি পুলিশের সহায়তা চান। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিয়াদসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, 'তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।' এ ঘটনায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন