সুরের মূর্ছনায় ‘মায়াবী সন্ধ্যা’

সুরের জাদুতে এক মায়াবী সন্ধ্যায় মাতোয়ারা হয়েছিল ধানমন্ডির সঙ্গীতপ্রেমীরা। ধানমন্ডি ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সুরের অনন্য আয়োজন—আহমাদ মায়া আখতারীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘মায়াবী সন্ধ্যা’।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যেই মিলনায়তন ভরে ওঠে প্রায় দুই শতাধিক শ্রোতাদর্শকে নিয়ে। ধ্রুপদী সুর আর মৃদু ঝংকারে শুরু থেকেই তৈরি হয় এক মনমুগ্ধকর পরিবেশ।
সঠিক সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মঞ্চে আসেন আয়োজক তোফায়েল আহমেদ রতন ও ফারজানা উর্মী। তারা অতিথিদের স্বাগত জানান। এরপর চিন্ময় কর ও ইয়াছিন গনি শিল্পী আহমাদ মায়াকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সৈয়দা ফারহানা শিখা ও লিপা সাবরিন।
সাড়ে সাতটা পেরোতেই মঞ্চে ওঠেন শিল্পী আহমাদ মায়া। হারমোনিয়ামের কোমল ছোঁয়ায় শুরু হয় তার সংগীত পরিবেশনা। মিলনায়তনের আলো হালকা ম্লান হতেই তার কণ্ঠে ভেসে আসে— “আমি শুনেছি সেদিন তুমি…”
এরপর একে একে গেয়ে শোনান— “তখন তোমার একুশ বছর”, “এই মন জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে”, “সন্ধ্যা বেলায় তুমি আমি বসে আছি দুজনায়”, “যেখানে সীমান্ত তোমার, সেখানে বসন্ত আমার”, “ও মোর ময়না গো”, “গতকাল চলে গেছে”, “আমায় ডেকো না”, “ফেরানো যাবে না ফেরারী পাখিরা”, “মাঝি তুমি মাঝ গাঙ্গে নাও বাইয়া যাও”, “ও বন্ধুরে, প্রানো বন্ধুরে”, “কবে যাব তোমার বাড়ি”, “শেষ কর না শুরুতে খেলা”, “একা একা কেন ভালো লাগে না”, “কোনো কাজে মন বসে না”, “মন চায় প্রতিদিন তুমি আমি একদিন”, “যখন থাকবে কোলাহল ঘুমে নিঝুম চারিদিক”, “অনেক বৃষ্টি ঝড়ে তুমি এলে”, “একি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে”—এরকম একের পর এক হৃদয়ছোঁয়া গান।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে দর্শকদের অনুরোধে আহমাদ মায়া পরিবেশন করেন আধুনিক গান, চলচ্চিত্র সঙ্গীত, লালন ও হাসন রাজা-সহ নানা ঘরানার গান।
অনুষ্ঠান শেষে ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’ অনলাইন সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহেল তার লেখা একটি বই শিল্পীর হাতে তুলে দেন। এক আবেগঘন পরিবেশে শেষ হয় আহমাদ মায়া আখতারীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘মায়াবী সন্ধ্যা’। শ্রোতারা আশা রাখেন, এমন মুগ্ধতা ছড়ানো আয়োজন আবারও ফিরে আসবে।

মন্তব্য করুন