চোখ থাকতে যারা অন্ধ কান থাকতে বধির তাদের বলার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

চীনের সফর সংক্ষিপ্ত করে একদিন আগে দেশে ফেরা নিয়ে যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে, তার ছাঁচাছোলা জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও আমি এরকম সফর সংক্ষিপ্ত করে আগেভাগে দেশে ফিরেছি।
সরকারি বাসভবন গণভবনে রবিবার বিকাল চারটায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মেয়ে অসুস্থ থাকায় নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে এসেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১১ জুলাই আসার কথা ছিল, সেদিনই এসেছি। বিকালে আসার কথা ছিল, কিন্তু সেদিনই এসেছি কিছু আগে।ছয় ঘণ্টা আগে আসি। ছয় ঘণ্টার মধ্যেই এত তোলপার হয়ে যাবে এটা তো বুঝতে পারিনি।
তিনি বলেন, একবার না, বহুবার আমি এসেছি। আমার যদি দেশে প্রোগ্রাম থাকে আমি চলে আসি।
সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, চোখ থাকতে অন্ধ যারা কান থাকতে বধির, তাদের বলার কিছু নেই।
ভারতের একটি দৈনিকে ‘চীন থেকে শেখ হাসিনা আপসেট হয়ে ফিরেছেন’ এক সাংবাদিকের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের পত্রিকা কী লিখেছে সেটা নিয়ে… যারা কথায় কথায় আন্দোলন করে, ভারতবিরোধিতা করে, ভারতের পত্রিকার লেখা পড়ে আবার কমেন্ট করে তাদের নীতি টা কী সেটা একটু বোঝা উচিত। তাদের মন মানসিকতাটা কোথায়।
যারা বলেন দেশ বিক্রি হয়ে গেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে চড়ে বসে বলে দেশটা সর্বনাশ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, খুব দ্রুত যাতায়াত করা যায়, এটাও তো সর্বনাশ, গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা হয়ে গেছে, নাগরিক সুবিধা বেড়েছে, গ্রামে বিদ্যুৎ চলে গেছে, এটাও তো সর্বনাশ। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছি, এটাও তো তাদের দৃষ্টিতে সর্বনাশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ গরিব থাকবে, বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে খাবে, এটাই তো তাদের আকাঙ্ক্ষা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট (আবাসন) এবং হসপিটালিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে চীনা ব্যবসায়ীরা।
দুর্নীতি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় আমার বাসার পিয়ন ছিল। সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। পরে তাকে ধরা হয়েছে। খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। এখন জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে, তাদের থামিয়েছি। এখন আমরা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছি, দুর্নীতবাজদের ধরছি। এটা চলতে থাকবে।
‘অনেকে আমাকে বলেন— এটা করলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি সেটা মনে করি না। যারা অপরাধ করছে, দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে; তাদেরকে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না।’
গত ৮ জুলাই বেইজিং সফর শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু সফরসূচিতে পরিবর্তন এনে একদিন আগে (১০ জুলাই) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/ইএস/ডিএম)

মন্তব্য করুন