নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি শিগগিরই: মাহফুজ আলম

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে কারা থাকবেন সেটি সার্চ কমিটিই ঠিক করবেন।
সংলাপের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়েই বেশি কথা হয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার বিষয় সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, যারা গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়ে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট- তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে। কিভাবে বাধা বাস্তবায়িত হবে- সেটা দেখতে পাবেন। এটার আইনি ও প্রশাসনিক দিক আছে। যখন নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে তখন বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বা ১৪ দল নিষিদ্ধের বিষয়টি সরকার পর্যালোচনা করছে। সকল রাজনৈতিকদল এবং সব ধরনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকার একা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ীমী লীগের ফ্যাসিজমের নীরব সমর্থন দিয়ে গেছেন। তারা অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছেন। এজন্য আমরা জাতীয় পার্টিকে আপাতত সংলাপে রাখছি না।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, সংলাপে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জানতে চেয়েছেন- সংস্কার প্রক্রিয়া, আওয়ামীলীগের রাজনীতি এবং অর্থ লুটপাট ও অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের বিষয়ে কী করছে সরকার। গণহত্যার বিচার কার্যক্রম নিয়েও তারা কথা বলেছেন।
এর পাশাপাশি গণহত্যা চালানোর ব্যাপারে গণভবনে বসে ১৪ দল শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন-এই ১৪দলের বিষয়ে সরকার কী করবে রাজনৈতিক দলগুলো তা জানতে চেয়েছেন।
গণগত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে দেশের বাইরে কিভাবে পালিয়ে গেলো- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশে কোন সরকার ছিল না। এক সপ্তাহের মত পুলিশ কর্মবিরতিতে ছিল। সে সময়ে আপনি যদি জানেন একটি লোক পালাচ্ছে- তখন তো পুলিশ দিয়ে তাকে আটকানোর। কিন্তু সেই পরিস্থিতি ছিল না।
তবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এই অবস্থানে অনড় আছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, উপদেষ্টা পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের যারা পালিয়েছেন তারা কীভাবে পালালো তারও তদন্ত চলছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এমআর)

মন্তব্য করুন