চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি, ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস

টানা ৩ দিন চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। সেই তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে তীব্র তাপদাহে। তীব্র গরমে ও তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৪ শতাংশ।
এদিকে, তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।
তীব্র তাপদাহে হিটস্টোকের ঝুঁকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপদাহে বয়স্কদের সব থেকে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুঁকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমান ফল বিক্রেতা আরমান আলী বলেন, শহরের অলিগলিতে পায়ে হেঁটেই ফল বিক্রি করে সংসার চালায়। তীব্র গরমে বেচাকেনা নেই। গত দুদিন সামান্য গরম কম ছিল। আজ তো অতিরিক্ত গরম। আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মুরগি খামারি আব্দুর রহিম বলেন, তীব্র গরমে বয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আরও বেশি হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। পোল্ট্রি, লেয়ার, কালার বার্ড, সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের মুরগি মারা যাচ্ছে গরমে। এতে খামারিদের পথে বসা অবস্থা হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে। ৪২ ডিগ্রি পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।(ঢাকা টাইমস/০৯মে/এসএ)

মন্তব্য করুন