ভৌগোলিক রেখা ও ছেদবিন্দু

ফরিদপুরের সেই গ্রামে হবে ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’ ও পর্যটনকেন্দ্র

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০১৯, ২১:৫৩| আপডেট : ৩০ জুন ২০১৯, ২১:৫৬
অ- অ+

ফরিদপুরে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কর্কটক্রান্তি রেখা এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমার ছেদবিন্দুতে স্থাপিত হতে যাছে ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’ ও পর্যটনকেন্দ্র। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।

ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গারদিয়া গ্রামের বিল ধোপাডাঙ্গা মৌজার এক টুকরো আবাদি কৃষি জমি ওই বিন্দুর কেন্দ্র।

ইতিমধ্যে একাধিকবার ধোপাডাঙ্গা মৌজার ওই জমি এলাকা সরকারি লোকজন পরিদর্শন করেছেন।

আন্তর্জাতিকমানের এই মানমন্দির ও পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করতে বেশ কয়েক একর জায়গার প্রয়োজন হবে। এরইমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানমন্দির’ স্থাপন করার জন্য একটা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। কারিগরি কমিটি তৈরি করে এরইমধ্যে একটি সভাও হয়ে গেছে বলে জানান ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এই মানমন্দির ও পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করতে বেশ কয়েক একর জায়গার প্রয়োজন হবে।

সম্প্রতি বিজ্ঞান লেখক ড. জাফর ইকবালও ওই রেখা ও বিন্দু নিয়ে ‘একটি স্বপ্ন’ শিরনামে নিবন্ধ প্রকাশ করেন।

সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, পৃথিবীতে তিনটি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত রেখা আছে, সেগুলো হলো- কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি ও বিষুবরেখা। ঠিক সে রকম চারটি উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত রেখা আছে, সেগুলো হলো-শূন্য ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি, ১৮০ ডিগ্রি এবং ২৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা।

চারটি উত্তর-দক্ষিণ রেখা এবং তিনটি পূর্ব-পশ্চিম রেখা-সব মিলিয়ে ১২ জায়গায় ছেদ করেছে।

এই ১২টি বিন্দু হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু। ১২টি বিন্দুর ১০টি বিন্দুই পড়েছে সাগরে-মহাসাগরে, তাই মানুষ সেখানে যেতে পারে না। একটি পড়েছে সাহারা মরুভূমিতে, সেখানেও মানুষ যায় না। শুধু একটি বিন্দু পড়েছে শুকনা মাটিতে, যেখানে মানুষ যেতে পারে। আর সেই বিন্দুটিই পড়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গারদিয়া গ্রামের কৃষি জমিতে।

ফরিদপুর শহর থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার সড়কে পুখুরিয়া নামক স্থান থেকে সদরপুর উপজেলার দিকে যেতে স্থানীয় বাইশ রশী শিব সুন্দর একাডেমি সংলগ্ন নুরুলগঞ্জমুখী রাস্তা ধরে তিন কিলোমিটার এগোলে ভাঙ্গারদিয়া গ্রাম। সেখানে বিল ধোপডাঙ্গা মৌজায় বারেক মাতুব্বর, ইকবাল মাতুব্বর, কুটিপাগলা, জাকির হোসেন, ইউসুফ মাতুব্বর, আজিজুল মাতুব্বর, শাহ জাহান শেখ ও মোফাজ্জেল হোসেনের প্রায় পাঁচ একর কৃষি জমিকে প্রাথমিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানমন্দির’ প্রকল্পের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।

এই জায়গাটির পরিচিতি যাতে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সে জন্য ন্যায্য দামে সরকারকে জমি লিখে দিতে রাজি আছেন বলে জানান গ্রামবাসী। স্থানীয় আশা করছেন মানমন্দির’ ও পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে, বদলে যাবে জীবনধারা। ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার পাশাপাশি কয়েকগুণে বৃদ্ধি পাবে জমির দাম, যার সুফল ভোগ করবে এই এলাকার সাধারণ মানুষ।

ফরিদপুরের মানুষ সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর স্বপন কুমার হালদার বলেন, কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমার ছেদ ফরিদপুরে রয়েছে। এই ছেদ বিন্দুকে ঘিরে সরকার বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করলে এই দেশকে যেমন পৃথিবীর মানুষ আরো চিনবে, তেমনি এ অঞ্চলের মানুষে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে।

ঢাকাটাইমস/৩০জুন/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ট্রাম্পের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনির
ভোরে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে এবার ২০ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
বোমা মারলেও ভয় পাব না: বিচারপতি নজরুল
২০ মিনিটে ৩০ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করল ইসরায়েলে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা