চাকরি ছেড়ে সফল কৃষি উদ্যোক্তা

লেখাপড়া শেষ করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি নামে সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে কৃষি জমিতে শাক-সবজি ও পুকুরে মাছ চাষের মধ্যদিয়ে প্রতিবছর আয় করছেন ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মাত্র ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েই হয়ে উঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। কৃষি জমিতে শাক-সবজি ও পুকুরে মাছ চাষে সফল হওয়ায় এলাকার বেকার যুবকরাও তাকে দেখে আত্মনির্ভর সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ নেন তার কাছে।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই গ্রামের হারুনুর রশিদের একমাত্র ছেলে তৌহিদ হাসান। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া শেষ করে রাজধানী ঢাকায় ভালো বেতনের একটি চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে ২০১৪ সালে জয়পুরহাট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে পর্যায়ক্রমে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ বাস্তবে কাজে লাগাতে নিজের জমিতে শাক সবজি ও লিজ নেওয়া পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। এরপর থেকে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তৌহিদ হাসান বলেন, কয়েক বছর আগে জয়পুরহাট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এরপর থেকে বাবার সঙ্গে কৃষি কাজে আগ্রহী হয়ে পড়ি। শুরুটা ছোট পরিসরে হলেও বর্তমানে আমার ৯ বিঘা জমিতে বেগুন, কাঁচা মরিচ, বাঁধা কপি, ফুল কপি, টমেটো, করলা, শিম ও লাউসহ শীতকালীন শাক-সবজি চাষাবাদ করে প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ টাকা ও ৫টি পুকুরে মাছের পোনা উৎপাদন ও মাছ বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করি। চলতি বছরে একটি গরুর খামাড় ও মুরগির ফার্ম করারও চিন্তা আছে আমার। বর্তমানে ৭ জন শ্রমিক মাসিক বেতনে কাজ করেন। আমার লক্ষ্য একটাই আগামী ৫ বছরের মধ্যে শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান তৈরি করা।
তৌহিদের বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, লেখাপড়া করে ছেলে ভালো একটা চাকরি করবে এটা সব বাবা মা’র ইচ্ছা। ছেলে যখন চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে কৃষি কাজ শুরু করে প্রথমে মন খারাপ হলেও এখন ভালো লাগে- আমার ছেলে একজন সফল উদ্যোক্তা। শুধু চাকরি করেই যে টাকা উপার্জন করতে হবে- সেই ধারণা আমার ছেলে বদলে দিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এলএ/এসএ)

মন্তব্য করুন