শেষ সিনেমা ‘আম্মাজান’ সুপারহিট! তবু কেন দুই যুগ অভিনয়ের বাইরে শবনম?

বাংলাদেশের খ্যাতিমান একজন অভিনেত্রী ঝর্ণা বসাক ওরফে শবনম। পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে তিনি আরও বেশি পরিচিত এবং নন্দিত। বাংলাদেশে এই ৭৭ বছর বয়সী অভিনেত্রীর শেষ সিনেমা ‘আম্মাজান’। কাজী হায়াতের পরিচালনায় ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় শবনম নাম ভূমিকায় অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
তারকাবহুল ‘আম্মাজান’-এ শবনমের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রয়াত সুপারস্টার নায়ক মান্না। বিভিন্ন চরিত্রে আরও ছিলেন আমিন খান, মৌসুমী, ডিপজল এবং মিজু আহমেদসহ অনেকে। প্রতিটি দর্শককে কাঁদিয়েছিল একজন ধর্ষিত নারী ‘আম্মাজান’ (শবনম) এবং তার ছেলে বাদশাহর (মান্না) অভিনয়। পেয়েছিল সুপারহিটের তকমা।
কিন্তু ‘আম্মাজান’-এর মতো এমন একটি কালজয়ী সিনেমা এবং হৃদয়ে দাগ কাটার মতো একটি চরিত্র করেও গত ২৪ বছর ধরে আর কোনো সিনেমায় কাজ করেননি শবনম! কেন? এ নিয়ে বহু বছর ধরে সরাসরি কোনো জবাব পাওয়া যায়নি অভিনেত্রীর থেকে। তবে গত বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইফতার পার্টিতে হাজির হয়ে শবনম জানান সেই অজানা কথা।
ওই অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি চিত্রনায়ক আলমগীরসহ অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রখ্যাত অভিনেত্রী শবনম অভিনয় থেকে দূরে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আম্মাজান’ করার পর ভালো কোনো চরিত্র পায়নি। তাই ক্যামেরার সামনেও দাঁড়াইনি। ইচ্ছা থাকলেও মনের মতো চিত্রনাট্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর কাজ করা হয়নি।’
অনুষ্ঠানে একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শবনম। সেখানে তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ অভিনয় জীবনে আপনাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। দুই দশকের বেশি সময় সিনেমার বাইরে, তার পরও আপনারা আমাকে মনে রেখেছেন, এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। বহুদিন পর সিনেমার মানুষের কাছে এসে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে চিরঋণী হয়ে থাকব।’
১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন শবনম। আজ ৭৭ পেরিয়ে ৭৮ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। শবনম বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে বেশি অভিনয় করেছেন। চার দশকের ক্যারিয়ারের তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা ১৮০টিরও বেশি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দেশ থেকেই পেয়েছেন নামিদামি অসংখ্য সম্মাননা।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এজে)

মন্তব্য করুন