বিজিবির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আধুনিক সফটওয়্যার, আছে যেসব সুবিধা

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আধুনিক যুগোপযোগী, কার্যকরী এবং সহজ করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর ওয়েব বেজ্ড ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার' তৈরি করা হয়েছে।
বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার এ সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন।
মহাপরিচালক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথপরিক্রমায় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এ রূপান্তরের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের গর্বিত অংশীদার হিসেবে বিজিবির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি নির্ভর ও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি 'ওয়েব বেজ্ড ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার' তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়৷ যার সফলতার দ্বার উন্মোচিত হলো আজকের এই সফটওয়্যারটির শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, 'রিক্রুটমেন্ট হলো একটি বাহিনীর দক্ষ সৈনিক বাছাইয়ের মূল ভিত্তি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ও স্বচ্ছ হলে বাহিনী মেধাবী, চৌকস ও দক্ষ সৈনিক পাবে। আর শুধুমাত্র একজন দক্ষ সৈনিকই পারে দেশমাতৃকার সীমান্ত সুরক্ষা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বলিষ্ঠ অবদান রাখতে। বিজিবি'র এই ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যারটি সঠিক প্রার্থী নিরূপণ করে যোগ্য, মেধাবী, দক্ষ ও চৌকস সৈনিক নিয়োগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে সহায়ক ও বলিষ্ঠ অবদান রাখবে বলে বিজিবি মহাপরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যারের সুবিধা:
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেশের সেবায় আগ্রহী প্রার্থীরা joinborderguard.bgb.gov.bd টাইপ করে নিজেই বিজিবিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিং-বিকাশ-নগদ-রকেটের মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়া বর্তমান পদ্ধতিতে প্রার্থীর ছবি অনলাইন আবেদনের সময়েই গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে এবং এতে সুরক্ষিত Encrypted QR Code থাকায় প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদনকারী তার শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পূরণ করার পর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় ডাটাবেজ থেকে তথ্য যাচাই করতে পারবে। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন এবং একইসঙ্গে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন আরও সুদৃঢ় হবে।
তাছাড়া এই সফটওয়্যার প্রার্থীর আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে পাশাপাশি বিজিবি’র রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রমের অন্যান্য সকল বিষয়া যেমন- প্রার্থীদের জেলা ভিত্তিক নির্বাচন কেন্দ্র নির্দিষ্ট করা, পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো নির্দেশনা অবহিত করা, ফলাফল পাঠানো ইত্যাদি কাজ অনেক সহজ হবে।
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে হেল্পলাইন স্থাপনের মাধ্যমে ২৪/৭ প্রার্থীদের আবেদন ও নিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান দেয়া সম্ভব হবে।
এছাড়াও আবেদনকারী কোনো প্রতারক বা দালালচক্রের প্রভাব ছাড়াই আবেদন প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করত: বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা/যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নিজস্ব মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে বিজিবি’র গর্বিত সদস্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।
উল্লেখ্য, কালের পরিক্রমায় এবং তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়া (লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং মেডিকেল চেকআপ) সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যে এই সফটওয়্যারের আধুনিকীকরণ অব্যাহত থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/এসএস/কেএম)

মন্তব্য করুন