শহীদরা ইসলামি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ইসলামি আন্দোলন যুগ যুগান্তরের একটি ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা। আর এ অগ্রযাত্রায় শাহাদাত হলো প্রেরণার উৎস। তেমনি এদেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য ১১ মার্চের শহীদেরা অনুপ্রেরণা।
সোমবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ১১ মার্চ ছাত্রশিবিরের "শহীদ দিবস" উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ছাত্র সংগঠন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ এবং শাখা দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে জামায়াত বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা হলো, জমিন আল্লাহর সুতরাং আইনও চলবে তার। যুগে যুগে নবী রাসুলরা মহান রবের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশমত তার বিধান কায়েমের চেষ্টা করেছেন। রাসুল সা. এ দায়িত্ব তার উম্মতকে দিয়ে গেছেন। এ পথে চলতে গিয়ে যুগে যুগে মুসলমানরা জীবন দিয়েছেন। আর যারা ইসলামের জন্য জীবন দিয়েছেন তারা ইসলামী আন্দোলনের প্রেরণার বাতিঘর। অন্যদিকে ফেরাউন, নমরুদসহ যুগে যুগে খোদাদ্রোহী জালিমেরা দ্বিনের বিরোধিতা করেছে, এ পথের যাত্রীদের অত্যাচার নিপীড়ণ করেছে তাদেরকে মহান আল্লাহতায়ালা লাঞ্ছিত করেছেন।
‘আমাদের সব কিছুই মহান রবের দান। সুতরাং আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়েই মহান রবের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব এটাই ইমানের দাবি। এ দায়িত্ব যারা পালন করবে তারা সফল আর যারা করবে না তারা ব্যর্থ। আর পরকালে যে সফল সেই প্রকৃত সফল।’
তিনি আরও বলেন, তবে তারাই আল্লাহ তায়ালার পথে লড়াই করতে পারে যারা দুনিয়ার জীবনের সুখ, শান্তি ও প্রাপ্তিকে আখেরাতের জন্য বিক্রি করে দেয়। ইসলামি আন্দোলনে ব্যর্থতা নেই। এ পথে চলতে গিয়ে যারা বিজয়ী হয় তারা যেমন সফল, তেমনি যারা জীবন বিলিয়ে দেয় তারাও সফল। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে যুগ থেকে যুগান্তরে। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার দ্বীনের মশালকে ধারন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন সাব্বির, হামিদ, আইয়ুব, জব্বার। তারা দুনিয়া থেকে আখেরাতকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তারা ইসলামি আন্দোলনের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবেন। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। হয়ত আমরা দ্বীন কায়েম করতে গিয়ে শহীদ হব অথবা শহীদ হওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে মহান রবের দরবারে হাজির হব ইনশাআল্লাহ। আর এটাই সর্বোচ্চ সফলতা।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ১১ মার্চ এদেশের ইসলামি আন্দোলনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেদিন আল্লাহর রাহে জীবন দেওয়া তরুণরা বিপ্লবী ছিল। তারা জানতেন ইসলামি আন্দোলন একটি বিপ্লবের নাম। আর এ বিপ্লবের জন্য শহীদ হলেই জান্নাত। তারা ইসলামি আন্দোলনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ইসলামি ছাত্রশিবিরের যাত্রা শুরু হয়েছে রক্ত আর শাহাদাত দিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ তায়ালা এমনটিই চেয়েছেন। শহীদেরা আল্লাহ তায়ালার বাছাই করা বান্দা। ১১ মার্চের শহীদেরা তাদের বিপ্লবের স্বপ্ন আমাদের জন্য রেখে গেছেন। আমরাও শহীদের সেই স্বপ্নকে শাহাদাতের মাধ্যমে হলেও আঞ্জাম দিতে প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ।
ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/জেবি/ইএস

মন্তব্য করুন