মেলান্দহে মেলায় মাদক বিক্রি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পহেলা বৈশাখ থেকে ওরস ও বৈশাখি মেলার নামে প্রকাশ্য চলছে মাদক সেবন ও কেনা-বেচা। পাশাপাশি চলছে জুয়ার আসর ও অশ্লীল নৃত্য। নীরব রয়েছে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, 'ওই জায়গায় কোনো মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে মেলান্দহ ইত্তেফাকুল উলামার আয়োজনে উপজেলার দুরমুট বাজারে হযরত শাহ কামাল ইয়ামনি (রহ.) মাজারকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী ওরস ও বৈশাখি মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, গান-বাজনা এবং গাঁজা ও মদ সেবন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকাল তিনটায় উপজেলার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি মেলান্দহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাইতুল নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সমবেত হয়। পরে মসজিদের সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইত্তেফাকুল উলামা মেলান্দহের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি সোলাইমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ইত্তেফাকুল উলামা জামালপুর জেলার সভাপতি মুফতি শামছুদ্দীন, মেলান্দহ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা শামছুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুর মোহাম্মদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আবদুল ওয়াহাব ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইস্রাফিল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেলার নামে 'প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হচ্ছে। অথচ পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই নিরব রয়েছে। কেউ এসব অপকর্ম বন্ধ করছে না। মেলায় প্রায় ৫০০ গাঁজা বিক্রির দোকান রয়েছে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের নামে প্রতিদিন রাতে ওই মেলায় চলে অশ্লীল নৃত্য , মাদক বেচাকেনা ও জোয়ার আসর। এসব অপকর্মের কারণে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে।এ বিষয়ে মেলান্দহ হানাদার মুক্তকারী ও প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম জানান, এ বিষয়ে আমি জানি না, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের নামে এমন ঘৃণিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মেলা কমিটির সভাপতি ও দুরমুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'মেলার অনুমতি না থাকে তাহলে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা দেখতেছি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান বলেন, 'ওই জায়গায় মেলা আয়োজনের কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ওই জায়গায় প্রতি বছর ওরস চলে ওই ভাবেই বলা হয়েছে। মেলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/০৯মে/প্রতিনিধি/পিএস)