বর যাত্রার সময় উপস্থিত প্রেমিকা, পালালো প্রেমিক পুলিশ রাসেল
প্রেমিকের বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন। বরকে নিয়ে কনের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। হঠাৎ বরের বাড়িতে হাজির তার প্রেমিকা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাড়ির পেছন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন বর। কয়েক মিনিটের মধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে গেলে বিয়ের আয়োজন। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বর রাসেদুল আলম ওই এলাকার আমির হামজার ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নেত্রকোণা জেলার পুলিশ লাইন্সে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তার প্রেমিকার বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায়।বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান করার খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়- প্রেমিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় পুলিশ সদস্য প্রেমিক রাসেল ও প্রেমিকা সুইটি আক্তারের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে। প্রেমিক রাসেল যেদিকে যেতে চাচ্ছেন প্রেমিকাও সেদিকে যাচ্ছেন এবং বাধা দিচ্ছেন যেতে। প্রেমিকা বারবার বলছেন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব। একপর্যায়ে দুজনে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। এসময় প্রেমিক কৌশলে বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা সুইটি আক্তারকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গোপনে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয় উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে। বিয়েতে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুকও ঠিকঠাক হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কিছু টাকা ছেলের পরিবারকে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) রাসেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। আজ বৃহস্পতিবার বরযাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। আর এতেই বিয়ের সকল আয়োজন লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
প্রেমিকা সুইটি আক্তার বলেন, 'এক বছর দুই মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার আমাদের দেখা হয়েছে। সে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আমার পরিবারের সবার সঙ্গেই সে পরিচিত। আমিও তাদের পরিবারের সবার সঙ্গে মোবাইলে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দেখা করেছে বারবার। রাসেল কাল আমাকে রাতে ফোন দিয়ে বলেছে,বিয়ে ঠিক হইছে তুমি বাড়িতে আস। এখন আমি আসার পর সে পালিয়ে গেছে। সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।
এ বিষয়ে ছেলের বাবা আমির হামজা বলেন,'জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে। তার সঙ্গে আমার ছেলের কোনো সম্পর্ক নাই।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মদন মোহন সিং বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মেয়েকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/পিএস
মন্তব্য করুন