পানির চাপে ভেঙে গেছে মুছাপুর রেগুলেটর, ঝুঁকিতে কয়েক লাখ মানুষ

প্রচণ্ড পানির চাপে পুরোপুরি ভেঙে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে উপজেলার মুছাপুর, চরপার্বতী, চরএলাহী, চরহাজারী ও সিরাজপুর ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কবিরহাট, ফেনী, দাগনভূঁইয়া ও মিরসরাইসহ কয়েকটি এলাকার লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে আছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে রেগুলেটরের পশ্চিম অংশ প্রচণ্ড পানির চাপে ছিঁড়ে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে পানির চাপে রেগুলেটরের ২৩টি গেট ছিঁড়ে পুরোপুরি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে উজানের ঢল আন্তঃসীমান্ত কাকড়ি ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে ছোট ফেনী নদীর মুখে মুছাপুর ক্লোজার গেটের মাধ্যমে সন্দ্বীপ চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ে পানি। কাকড়ি নদী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ও কাশিনগর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পানি ডাকাতিয়া নদীতে মিশেছে। এছাড়া ডাকাতিয়া নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত কয়েকদিন প্রচুর পানি নামতে থাকে এই রেগুলেটর দিয়ে। যার ফলে স্বাভাবিক হতে থাকে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি। কিন্তু রবিবার রাত থেকে রেগুলেটর এলাকায় বাড়তে থাকে পানির চাপ, এতে সোমবার সকালে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায় রেগুলেটরটি। এতে রেগুলেটর এলাকার আশপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেনীর ভয়াবহ বন্যার পানি নামার জন্য কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩টি গেট খুলে দেওয়া হয়। যেখান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫০ ঘন মিটারের বেশি পানি নিষ্কাশন হয়েছিল।(ঢাকা টাইমস/২৬আগস্ট/এসএ)

মন্তব্য করুন