শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, এ পর্যন্ত নিহত ৯

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। যদিও এসব নদীর পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রবিবার বিকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়নি। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে বন্যার কারণে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। নিখোঁজ কয়েকজন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ১৩৮ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী নদীর পানি ৭৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানিও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলার বাগবেড় গ্রামের কৃষক হাসমত মিয়া ও রহিম শেখ বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনেক এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি।

বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বন্যার চার দিন হয়ে গেলেও এখনো ত্রাণ পাননি তারা।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সব জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি। এ কাজে সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ সবাই এগিয়ে এসেছেন। সবাই মিলে আমরা এ দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/এজে)