কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৪০
অ- অ+

কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার এইচ আর হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ইসরাত জাহান এরিন (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়।

অপারেশনের সময় ডা. নিঝুম প্রসূতির নাড়ি কেটে ফেলায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

নিহত ইসরাত জাহান এরিন কুমিল্লা আদর্শ সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের সিমপুর এলাকার মোবারক হোসাইনের মেয়ে। তবে মা এরিন মারা গেলেও নবজাতকটি সুস্থ আছে।

জানা গেছে, নিহত ইসরাত জাহান এরিনের বছর খানেক আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী গ্রামের ব্যাংকার ইসমিত পাশা দিদারের সঙ্গে। এটি তার প্রথম সন্তান প্রসব ছিল।

মৃত ইসরাত জাহান এরিনের মামা হাসনাত বলেন, ‘এইচ আর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে ডা. নিঝুম আমার ভাগনির অপারেশন করেন। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার হলেও শুক্রবার দুপুরে এরিনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এরিনের পালস খুঁজে না ফেলে তাকে আইসিউ তে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে, এরিনকে পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী মুন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পর এরিনের পেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে মুন হাসপাতালের চিকিৎসক জানান। ততক্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এরিন।

এইচ আর হাসপাতালের চিকিৎসক নিঝুম অস্ত্রোপচারের সময় একটি নাড়ি কেটে ফেলায় তার ভাগনির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মৃত ইসরাত জাহান এরিনের বাবা মোবারক হোসাইন বলেন, ‘তারা আমার মেয়ের নাড়ি কেটে ফেলেছে। আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় পার করেছে। তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনা শোনামাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ঘটনা জানার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার একটি প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তারা প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

শনিবার সকালে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে ডা. নিঝুমকে একাধিকবার কল দিলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, ‘আমরা তদন্ত টিম পাঠাচ্ছি। তদন্ত টিম এখন এইচ আর হাসপাতালে যাবে। এ সকল মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে এ সকল ক্ষেত্রে আমরা রোগীর আত্মীয়-স্বজন থেকে কোনো অভিযোগ পাই না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

(ঢাকা টাইমস/০৯নভেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন
আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভৈরবে গ্রেপ্তার
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বিশ্বে প্রথম সুপার ফুড খেজুরের কোমল পানীয় মিলাফ কোলা এখন বাজারে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা