আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে স্বর্ণ-রুপার দাম, দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল

মার্কিন ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম।
ট্রেডিং ইকোনমিকসের তথ্য অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম কমে প্রতি আউন্স ৩,২৮৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা সপ্তাহ ব্যবধানে ২ শতাংশ কম।
মার্কিন বাণিজ্য নীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণে রুপার দামেও পতন ঘটেছে। প্রতি আউন্স রুপার দাম এক শতাংশের বেশি কমে ৩২ ডলারে নেমেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে এই পতনের হার ১.৪৩ শতাংশ।
এছাড়া, প্লাটিনামের দামও কমেছে ২.২৬ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম ১,০৪৮ ডলার, যা গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩.৫ শতাংশ কমেছে।
উল্লেখ্য, যেকোনো দেশে ঝুঁকি এড়াতে সোনা মজুত করে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে সেই পরিমাণ বেড়ে গেলে সোনার মূল্য বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় কোনো দেশের মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ঘটে। সেক্ষেত্রে নিজেদের সম্পদ রক্ষার্থে সোনা বিনিয়োগ করেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তাদের কাছে ধাতুটির আকর্ষণ বাড়ে। সেই সঙ্গে দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়। ডলারের দাম বাড়লে সোনার দর হ্রাস পায়। আবার ডলারের মূল্য নিম্নমুখী হলে সোনার দাম বেড়ে যায়। এসব কারণে সোনার দাম কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত ২১ মে রাতে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। ওইদিন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরিতে দাম বেড়ে যায় ২,৮২৩ টাকা। পাশাপাশি সমন্বয় করা হয় রুপার দামও।
রবিবার (১ জুন) দেশের বাজারে এখনো এই সমন্বয়কৃত নতুন দামেই স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়ছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৩৬ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৪ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
(ঢাকাটাইমস/১ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন