ইন্টারনেট ও মোবাইলে কথা বলার খরচ কমবে!

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবার ওপর উৎস কর কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ১০ শতাংশ থাকলেও এখন তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট সেবার ওপর কর কমানোর ঘোষণা এসেছে।
সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেছেন। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
মূলত ডিজিটাল খাত ও টেলিযোগাযোগ সেবা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে বাজেটে কর কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবার ওপর উৎস কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের জন্য সেবা আরও সাশ্রয়ী ও সহায়ক হবে বলে মনে করছে সরকার।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এখন থেকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্ধেক কম কর দিতে হবে। এর ফলে তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমবে, যা সরাসরি গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট খরচ কমানোর সুযোগ তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে মোবাইল কোম্পানিগুলো এখন থেকে তাদের মোট আয়ের ওপর কম কর দেবে। এতে তাদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়বে এবং তারা সেবার মান উন্নয়ন ও নতুন নতুন প্রযুক্তিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে। সোমবার (২ জুন) বেলা তিনটার দিকে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে পূর্ব-ধারণকৃত বাজেট বক্তৃতা সরাসরি দেখানো হয়।
বর্তমানে জাতীয় সংসদ কার্যকর না থাকায় সম্প্রচার মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অনুমোদিত হয় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।
(ঢাকাটাইমস/০২জুন/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন