উৎসুক মন

উৎসুক মন জানতে চায় — কী আছে ওই দূর দিগন্তে,

অজানার ডাকে সে নিরন্তর হাঁটে,

নিঃশব্দ কথার গভীর অন্তঃসত্ত্বে।

.

পাতার ফাঁকে ছড়ানো আলোয় — প্রশ্ন জাগে হৃদয় জুড়ে,

“আমি কে? কোথা থেকে এলাম?”

গান গায় অন্তর— গভীরতা খুঁড়ে।

.

জলের ঢেউয়ে লেখা থাকে — হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির নাম,

উৎসুক মন পড়ে সে ইতিহাস,

খুঁজে ফেরে জীবনের প্রকৃত দাম।

.

পাখির ডাকে ভোরের ঘুম ভাঙে— চোখ খোঁজে সে দৃষ্টি,

সহস্র প্রশ্ন ঘুরে মনের মাঝে,

নিরবধি এক অন্তর্জগতের সৃষ্টি।

.

ক্লান্তির মাঝেও জেগে থাকে — অপূর্ণ এক কৌতূহল,

“এই জীবন কি কেবল টিকে থাকা?”

না লুকিয়ে আছে আরও কিছু চলাচল?

.

আয়নার মাঝে সে খোঁজে — অলিখিত এক নিজস্ব ছায়া,

সময়ের স্রোতে ভেসে চলে,

জ্ঞানের তৃষায় আঁকে রঙিন মায়া।

.

পর্বতের চূড়া ডাকে তাকে — গহিন বনের নিঃশব্দ আহ্বান,

সব শুনে মন ভাবে শুধু,

“আসল সত্য কোথায় পায় স্থান?”

.

বইয়ের পাতায় চোখের জলে — খুঁজে ফেরে একটু আলো,

অন্তরে বাজে নিঃশব্দ সুর,

অচেনা বাঁশির প্রেমে হৃদয় ঢালো।

.

চুপচাপ ছুঁয়ে যায় বাতাস — মনে আঁকে এক স্বপ্নরেখা,

উৎসুক মন জানে না বিরাম —

তার চলা এক অন্তহীন নিরব লেখা।

.

এই মনই একদিন খুলে দেবে — অস্তিত্বের গহিন কপাট,

অন্তর্দৃষ্টির দীপ্ত আলোয়

মিলবে জীবনের সহজ-সত্য পাঠ।