কবিতা
কৃষ্ণচূড়ার দিনে

রক্তজবা নয়, এ যেনো আগুনের ঢেউ,
পথের ধারে দাঁড়িয়ে জ্বলে একাকী—
নীরব দুপুরে গাছের ছায়াতলে
ভিজি আমি, কল্পনায় দেই রাঙা ফাঁকি।
বৃন্তে বৃন্তে জ্বলে গ্রীষ্মের গান,
ধুলোমাখা শহরে সর্বত্র হাসে কৃষ্ণচূড়া।
ঘামে ভেজা পথিক ক্লেশে থামে এক নিমেষ,
চোখ জুড়ায় লাল রঙে জাগ্রত শোভিত ধরা!
ছেলেবেলার জানালায় ছিল যে গাছ,
সেই আগুনেই জাগ্রত ভালোবাসা।
বসন্ত পেরোয়, তবু গন্ধ থাকে,
রয়ে যায় লাল রঙের নিঃশব্দ ভাষা।
মেঘ আসে না, বৃষ্টি ফিরেও চায় না,
তবু এই ফুলেই সারাদিন ভিজি আমি।
ক্লান্ত দুপুরে রঙ জাগায় আরেক স্বপ্ন,
আধুনিক ছায়ায় আঁকে নীল-তমসা ধ্বনি।
জীবনের ভিড়ে যখন ক্লান্তি চায় ছুটি,
তখন কৃষ্ণচূড়া ডেকে বলে— “একটু থেমে যাও।”
কোনো কবি হয়তো গোপনে রেখে যায়,
এই লাল ফুলের কাছে প্রেমের একটি ঘর-চাও।
মন্তব্য করুন