চ্যালেঞ্জিং স্কোর করেও হোয়াইট ওয়াশ বাংলাদেশ, হ্যারিসের সেঞ্চুরি

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০২ জুন ২০২৫, ০১:২২
অ- অ+

পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেও শেষ রক্ষা হলো না। হোয়াইট ওয়াশই হতে হলো সফরকারী বাংলাদেশকে। টাইগারদের দেওয়া ১৯৭ রানের টার্গেট এক হ্যারিসের সেঞ্চুরিতে সাত উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান।

সোমবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচেও টস হারেন লিটন দাস। তবে আগের দুই ম্যাচের মতো ফিল্ডিং নয় ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানি অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।

তবে সেই রানও যথেষ্ট হয়নি। মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ১৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিকেই তিন অঙ্কে রূপ দিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান হ্যারিস। ৪৬ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় করেন ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার আগে ওপেনার সাইম আইয়ুব করেন ২৯ বলে ৪৫ রান। এ ছাড়া নওয়াজ ২৬, আগা ১৫ ও ফারহান ১ রান করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি মিরাজ দুই উইকেট এবং টানজিম সাকিব নেন এক উইকেট।

হোয়াইট ওয়াশের চোখ রাঙানি নিয়ে মাঠে নেমে বাংলাদেশ দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের শত রানের জুটির সুবাদে চ্যালেঞ্জিং স্কোরই (৬ উইকেটে ১৯৬ রান) দিয়েছিল স্বাগতিক পাকিস্তানকে।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। উদ্বোধনী জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১তম ওভারে ১০০ পেরিয়ে যায় টাইগাররা। নিজেদের টিটোয়েন্টি ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেল বাংলাদেশ।

আর এর সুবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্কোর করে বাংলাদেশ। শেষ বল পর্যন্ত লড়ে বাংলাদেশ ছয় উইকেটে ১৯৬ রান করতে পারে। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৭৫ রান, ২০১২ সালের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে।

উদ্বোধনী জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম ১০.৪ ওভার ১১০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন তারা।

৩৪ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১২তম ম্যাচে এটা তার প্রথম ফিফটি। তরে গত মাসে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শারজায় দেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেন তিনি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। তিনি ৩২ বলে তিন চার আর তিন ছক্কায় এই ইনিংস খেলেন।

দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলিরা। আর তাতে দুইশো রানের আগেই ইনিংস থামে বাংলাদেশের।

১৮ বলে ২৫ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি। ১৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।

পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী দুইটি, আব্বাস আফ্রিদি দুইটি এবং ফাহিম আশরাফ ও সাদাব খান একটি করে উইকেট নেন।

সিরিজের প্রথম দুটো ম্যাচেই টসে হেরে প্রথমে বোলিং করে পাকিস্তানের দুই শতকের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগাররা সে পর‌্যন্ত পৌঁছানোর আগেই অলআউট। একটিতে ৩৭ আর অন্যটিতে ৫৭ রানের হার। হারল ৭ উইকেটে।

(ঢাকাটাইমস/১জুন/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নগরকান্দায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন সহযোগীসহ অবসরপ্রাপ্ত মেজর গোলাম হায়দার গ্রেপ্তার
কালিয়াকৈরে বিপুল জাল টাকাসহ যুবক গ্রেপ্তার
আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
চেয়ার খালি থাকে না, পদত্যাগের কথা না বলে নির্বাচন দিন: ড. ইউনূসকে ফারুক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা