ভৈরবে ইউপি সচিবকে মারধর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুরানীতির অভিযোগে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব মো. আতিকুর রহমানকে মারধর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভৈরবে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয় ।
গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলা শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন সচিব আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ জন্মনিবন্ধনের অভিযোগে এলাকার একদল লোক এসে তাকে মারধর এবং জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিনের নির্দেশে ভৈরব থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ আহত সচিবকে উদ্ধার করে। পরে সচিবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউপি সচিব বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করে একদল লোক আমার রুমে ঢুকে আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এরপর অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আমি ইউএনও স্যারকে অবগত করলে তিনি থানার পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’
এলাকার স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, বিগত সরকারের আমলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা এই ক্ষোভে সচিবের উপরে হামলা করেন।
শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একদল দুষ্কৃতিকারী ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে। এ সময় ইউপি সচিবকে মারধোর করেন এলাকার কিছু দুষ্কৃতকারী। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য কালা মিয়াসহ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকাবাসীর চাপের মুখে ভয়ে কিছুই করতে পারেননি স্থানীয় প্রতিরিধিরা।’
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, ইউপি সচিবের ওপর হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় ইউপি সচিব আতিকুর রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন