ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল সাগর, চট্টগ্রামে তীরে উঠে গেল চার জাহাজ

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারটি জাহাজ নগরীর পতেঙ্গা ও আনোয়ারার গহিরা সাগর তীরে উঠে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর পতেঙ্গায় দুটি লাইটারেজ জাহাজ সমুদ্র সৈকতের তীরে পাথরের ওপর উঠে আটকে যায়। এরপর গতকাল শুক্রবার আনোয়ারা উপজেলা উপকূল গহিরায় বঙ্গোপসাগরের চরে আটকে যায় দুটি জাহাজ।
নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডের বাঁধে আটকে যায় পানামার পতাকাবাহী ট্যাংকার জাহাজ ‘বিএলপিজি সোফিয়া’। তার কাছে বাঁধের কংক্রিট ব্লকে আটকে যায় ‘এমভি আল–হেরেম’। এমভি আল–হেরেম জাহাজটি পণ্য খালাসের পর সাগরে নোঙ্গর করা অবস্থায় ছিল। এছাড়া এলপিজি সোফিয়া জাহাজটি গত অক্টোবরে এলপিজি গ্যাস স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আনোয়ারার সমুদ্র তীরে আটকে যাওয়া দুটি হলো সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের পতাকাবাহী টাগ ‘নেভিমার–৩’ ও সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী বার্জ ‘মারমেইড–৩’। জাহাজ দুটি বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে। পরে সমুদ্রের জোয়ারের প্রভাবে উপকূলের চরে আটকে পড়ে। জাহাজ দুটি দুবাই মালিকানাধীন এক কোম্পানির।
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ১০০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনায় ডুবে গেছে মালবাহী একটি ট্রলার। টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের কারণে বান্দরবান-রুমা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নৌযানগুলো উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১ মে/আরজেড)

মন্তব্য করুন