সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুসসহ আটজনের ১৪১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার স্ত্রী ফজলুতুননেসাসহ আটজনের ১৪১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ আটজনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুল সোবহান, কামরুলের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান, নূর-ই-হাফজা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক সিএফও ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান রয়েছেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। পাশাপাশি ১১ টি বিও একাউন্ট জব্দেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, তার পরিবারের সদস্য ও কোম্পানির পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, মোস্তফা কামরুস সোবহান, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ফজলুতুননেসা, নূর-ই-হাফজা ও কোম্পানির সাবেক সিএফও মীর রাশেদ বিন আমান সুপরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিধিবর্হিভূতভাবে একই পরিবারের সাতজন সদস্য কোম্পানির বোর্ড পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ গ্রহণ করে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে জাল চুক্তিনামা সৃজন করার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শেয়ারিং এর মাধ্যমে ওই অর্থ তাদের নামীয় বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করায় মামলা দায়ের করা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, তদন্তকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, আসামিদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব/শেয়ার অবরুদ্ধ করা না হলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন।
(ঢাকাটাইমস/০১মে/এমআর)

মন্তব্য করুন