‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ সেতুবন্ধ

দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের বেপানজিয়াং সেতু খুলে যাচ্ছে এ বছরের মধ্যেই। নদীর গভীর গিরিখাতের উপর মাথা তুলে দাঁড়ানো ১৮৫৪ ফুটের এই সেতু হতে চলেছে বিশ্বের উচ্চতম।
ইঞ্জিনিয়াররা প্রায় গুটিয়ে এনেছেন কাজ। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের বেপানজিয়াং সেতু খুলে যাচ্ছে এ বছরের মধ্যেই। নদীর গভীর গিরিখাতের উপর মাথা তুলে দাঁড়ানো ১৮৫৪ ফুটের এই সেতু হতে চলেছে বিশ্বের উচ্চতম। দৈর্ঘ্য, ১৩৪১ মিটার। সম্প্রতি সেতুর দুই প্রান্ত জুড়েছে বেপান নদীর দুই পাড়ে। চীন ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এ রকমই সব ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ সেতুবন্ধ। সেখানে যাওয়াটা কিন্তু অ্যাডভেঞ্চারেরই সামিল! জেনে নিন তারই কয়েকটা।
ঘাসা (নেপাল)
নেপালের এই ঝুলন্ত সেতু প্রথমে তৈরি হয়েছিল মালবাহী পশুদের যাওয়ার রাস্তা হিসেবে। এখনও মূলত সেই কারণেই ব্যবহার করা হয় সেতুটিকে। অত্যন্ত সরু এই পায়ে চলা সেতু উচ্চতার কারণেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে কখনও-সখনও। মালবাহী পশুরা সেতু পেরিয়ে ঘাসা গ্রামের দিকে যাওয়ার সময় মাঝে মাঝেই যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকেরা নিয়মিত যাতায়াত করলেও পর্যটকদের সাধারণত এই সেতু উঠতে বারণ করা হয়।

মারিয়েনব্রুখ (জার্মানি)
ভয়ঙ্কর সুন্দর যাকে বলে। দু’টো খাড়া ক্লিফকে জুড়ে দিয়েছে পায়ে চলা এই সেতু। জার্মানির বাভেরিয়ান আল্পসের এক দুর্গম অংশে তৈরি করা হয়েছে সেতুটিকে। পায়ে হেঁটে পেরোতে গিয়ে নিচের দিকে তাকালে বুক দুরুদুরু করতেই পারে।

ট্রিফট ব্রিজ (সুইৎজারল্যান্ড) সুইৎজারল্যান্ডের এই পায়ে চলা সাসপেনশন সেতু থেকে দেখা যায় ট্রিফট গ্লেসিয়ার। সেতুর দৈর্ঘ্য ৫৬০ ফুট, ৩৩০ ফুট উঁচু। সুইস আল্পস আর নিচের ট্রিফটসি লেকের চোখজুড়নো সৌন্দর্য দেশ-বিদেশ থেকে ঘন ঘন পর্যটক ডেকে আনে। বছরে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি পর্যটক সমাগম হয় এখানে। ২০০৯ সালে নতুনভাবে তৈরি করার পর আরও বেশি পর্যটকের ভিড় হচ্ছে।
এইগ্যি দু মিদি (ফ্রান্স) যাঁদের হার্টে সমস্যা কিংবা অ্যাক্রোফোবিয়া (উচ্চতায় ভয়) রয়েছে, তাঁদের এই ব্রিজে ওঠা বারণ। ফ্রেঞ্চ আল্পসের মঁ ব্লাঁ রেঞ্জে তৈরি হওয়া এই সেতু সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ১২,৬০০ ফুট উপরে। সেতু চলে গিয়েছে টানেলের মধ্যে দিয়ে। পর্যটকদের জন্য এখানে রয়েছে কেবল কারের বন্দোবস্তও। অবশ্য যারা ট্রেক করতে আসেন, তারা সাধারণত হেঁটেই পাড়ি দেন সেতুতে ওঠার রাস্তাটা।
ক্যারিক-আ-রিড (আয়ারল্যান্ড)
উত্তর আয়ারল্যান্ডের এই দড়ির সেতু পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। ৩৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ছোট্ট দ্বীপ ক্যারিকারেডের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাতেন। ৬৬ ফুট লম্বা এই সেতু তৈরি হয় শেষ পর্যন্ত। স্যামন মাছ ধরার জন্য বিখ্যাত এই জায়গা। ক্যারিকারেড সেতুতে উঠলে স্কটল্যান্ডের একটা অংশও দেখতে পাওয়া যায়।
(ঢাকাটাইমস/১অক্টোবর/এজেড)
মন্তব্য করুন