যে কারণে শাহজালালে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অনুমোদন না মেলায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য স্থাপিত ৬টি আরটি পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সব কাজ এগিয়ে নিয়েছি। সংযুক্ত আরব আমিরাত এসওপি দিলেই পরীক্ষা শুরু করতে পারবো৷

এর আগে গত শনিবার রাতে বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয় এবং রবিবার বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানিয়েছিলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের আরটি পিসিআর টেস্ট শুরু হবে।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব না থাকার কারণে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। এছাড়া অনেক দেশ বিমানবন্দর থেকে করোনা পরীক্ষা করার পর উড়োজাহাজে ওঠার শর্ত আরোপ করে।

এদিকে বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরে এমন সুবিধা না থাকায় অনেক প্রবাসী দেশে আটকা পড়েন। ফলে একদিকে প্রবাসীরা বিদেশে তাদের চাকরি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন, অন্যদিকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছিল রেমিট্যান্স আয়ের সম্ভাবনা থেকে।

এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের দ্রুত আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেন। এর পরই ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব বসাতে অনুমোদন দেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

তবে একাধিক ল্যাব কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শুধু একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমতি দিতেই এই সময় নষ্ট করা হচ্ছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা চাইব না, আমাদের কোনো কাজের জন্য দেশের মানুষের ক্ষতি হোক, প্রবাসীরা দিনের পর দিন দেশে আটকে থাকুক।

(ঢাকাটাইমস/২৮ সেপ্টেম্বর/আরকে/কেআর)