বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৪০
অ- অ+

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের চরপাড়ার প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা-পানির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটিতে ইটের ছোঁয়া না লাগায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রুদ্রবানা গ্রামের "চরপাড়া তিন রাস্তার মোড় হতে হাদী ছিলামতের বাড়ি পর্যন্ত" প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো পথের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধসহ অন্য সবার।

সারা বছরের প্রায় ৫/৬ মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এই এলাকার মানুষের আতংক ও ভয়ের আরেক নাম বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু সমান কাদা।

কাদার জন্য গ্রামের এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকসা ঢোকে না। মোটরসাইকেল, সাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে পারে না। অনেক সময় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমরান হোসাইন বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। আমাদের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না, নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাটবাজারে যেতে পারি না। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। আমাদের ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বিশেষ করে বৃষ্টি-কাদার দিনে জুতা স্যান্ডেল হাতে নিয়ে দুই কিলোমিটার কাদা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর কত কাল এ কষ্ট করতে হবে কে জানে।

ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এলাকায় প্রচুর কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা কিছুই বুঝে পারি না। শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এখানে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী আছে- তাদের এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি। তাদের কাছে অনুরোধ আমাদের এই রাস্তার দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবর আলী বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা। আবার নতুন মাটি দেওয়াতে বৃষ্টির কারণে কাদা হয়ে গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। আশা করি, খু্ব তাড়াতাড়ি এর একটা সমাধান হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করে আশু সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৭২, ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর হামলায় ক্ষোভ
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাশিয়ার
সাতক্ষীরায় করোনা রোগী শনাক্ত  
উত্তরায় র‍্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই, নগদ অর্থ-গাড়িসহ গ্রেপ্তার ৫
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা